TP-Link Tapo C202
টিপি-লিংক তাদের নতুন সিকিউরিটি ক্যামেরা মডেল Tapo C202 নিয়ে এসেছে, যা উন্নত প্রযুক্তি এবং আকর্ষণীয় ফিচারের সমন্বয়ে একটি নিরাপত্তার পূর্ণ প্যাকেজ। এই ক্যামেরাটি অত্যাধুনিক ডিজাইনের সাথে সহজেই বাড়ি বা অফিসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম। আসুন দেখে নেই এর পূর্ণ স্পেসিফিকেশন।
TP-Link Tapo C202 মডেলে ব্যবহার করা হয়েছে ১/২.৮ ইঞ্চির প্রগ্রেসিভ স্ক্যান CMOS সেন্সর, যা নন-স্টারলাইট প্রযুক্তির। এই ক্যামেরায় ৮৫০ nm ইনফ্রারেড এলইডি রয়েছে, যা রাতের বেলায় সর্বাধিক ৪০ ফুট পর্যন্ত পরিষ্কার দৃশ্য প্রদান করতে পারে।
মূল্য: নিয়মিত দাম ২,৪৯০৳।
এই ক্যামেরাটি ১০৮০পি ফুল এইচডি (১৯২০ × ১০৮০ পিক্সেল) রেজুলেশন প্রদান করতে সক্ষম। এর ফ্রেম রেট ডিফল্টভাবে ১৫ fps হলেও, ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী সেটি ৩০ fps পর্যন্ত করা যায়। ভিডিও কমপ্রেশন ফরম্যাট হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে H.264, যা কার্যকরভাবে ভিডিও স্টোরেজে সহায়ক। এছাড়া লাইভ ভিউ সুবিধাও আছে, যা রিয়েল টাইমে ফুটেজ দেখতে সাহায্য করবে। ভিডিও কোয়ালিটি আরও উন্নত করতে রয়েছে ৩ডি ডিএনআর (ডিজিটাল নয়েজ রিডাকশন) এবং ওয়াইড ডাইনামিক রেঞ্জ (WDR) প্রযুক্তি।
ক্যামেরাটিতে বিল্ট ইন মাইক্রোফোন ও স্পিকার রয়েছে, যার মাধ্যমে দুই দিকের অডিও যোগাযোগ সম্ভব। এই সুবিধা দিয়ে ব্যবহারকারীরা ক্যামেরার সামনে থাকা ব্যক্তির সাথে সরাসরি কথা বলতে পারবেন। নোইজ ক্যান্সেলেশন প্রযুক্তি সংযুক্ত থাকায় অডিও পরিষ্কার শোনা যাবে। এছাড়া, ৯০ ডেসিবেল সাইরেনের সুবিধা রয়েছে, যা প্রয়োজনীয় সময়ে সতর্ক সংকেত হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
TP-Link Tapo C202 ক্যামেরার লেন্সের ফোকাল দৈর্ঘ্য ৩.৮৩ মিমি, এবং এটির অ্যাপারচার F2.4। এই ক্যামেরার ভিউ এঙ্গেল ১০৭.৫২ ডিগ্রি (ডায়াগোনাল), ৮৮.১১ ডিগ্রি (হরাইজন্টাল) এবং ৪৬.৬৫ ডিগ্রি (ভার্টিক্যাল)। এর ফলে ক্যামেরা সর্বাধিক এলাকা কভার করতে সক্ষম।
TP-Link Tapo C202 ক্যামেরা ওয়াই-ফাই এবং ইথারনেট দুই ধরনের নেটওয়ার্ক সংযোগে সমর্থন করে। ২.৪ গিগাহার্টজ ওয়াই-ফাই কানেক্টিভিটি সহ এটি IEEE 802.11b/g/n প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এছাড়াও, ইথারনেট সংযোগের জন্য ১০০ Mbps RJ45 পোর্ট রয়েছে। RTSP প্রোটোকল সাপোর্ট করে, যা ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের সময় সুবিধা দেয়।
ক্যামেরাটিতে একটি মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট রয়েছে, যা সর্বাধিক ৫১২ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ সাপোর্ট করে। এতে এআই প্রযুক্তির সাহায্যে মুভমেন্ট ডিটেকশন, পারসন ডিটেকশন এবং বেবি ক্রাই ডিটেকশন রয়েছে, যা নির্দিষ্ট কাজের জন্য ক্যামেরাকে আরও স্মার্ট করে তুলেছে। এছাড়া, ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট এলাকাকে নজরে রাখতে ক্যামেরায় অ্যাক্টিভিটি জোন নির্ধারণ করতে পারবেন।
এই ক্যামেরায় সিস্টেম নোটিফিকেশনের মাধ্যমে আলার্ম পাঠানোর সুবিধা রয়েছে। এছাড়া, ট্যাপো কেয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ছবি সহ নোটিফিকেশন পাওয়া যাবে। ক্যামেরাটি গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং অ্যামাজন অ্যালেক্সার সাথে ইন্টিগ্রেশন করে ব্যবহার করা সম্ভব।Tapo C202 ক্যামেরা ব্যবহার করতে হলে আইওএস ৯.০ বা অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪ বা তার উর্ধ্বের ডিভাইস প্রয়োজন। এটি টেবিলের উপর রাখা বা সিলিংয়ে মাউন্ট করা যায়। ক্যামেরাটিতে ১ বছরের ওয়ারেন্টি প্রদান করা হচ্ছে, যা গ্রাহকদের মানসিক প্রশান্তি দেবে।
সংক্ষেপে, TP-Link Tapo C202 ক্যামেরাটি আধুনিক সিকিউরিটি সিস্টেমের চাহিদা পূরণে একটি সম্পূর্ণ প্যাকেজ, যা উন্নত ফিচার, স্মার্ট ইন্টিগ্রেশন এবং নিরাপদ স্টোরেজের মাধ্যমে বাড়ি বা অফিসের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
Disclaimer: We do not guarantee that the information of this page is 100% accurate and up to date.