প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক (PKB) বাংলাদেশের প্রবাসীদের জন্য একটি বিশেষ ব্যাংক, যা মূলত বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য অর্থায়ন এবং প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করে। প্রবাসীরা যাতে সহজে এবং সুষ্ঠুভাবে লোন পেতে পারেন, সেই লক্ষ্যে এই ব্যাংক কাজ করে। নিচে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন সম্পর্কিত বিস্তারিত নিয়মাবলী আলোচনা করা হলো।
লোনের ধরণ ও পরিমাণ
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের লোন প্রদান করে, যা নিম্নরূপ:
বিদেশে চাকরি করার জন্য লোন:
- প্রথম পর্যায়ে লোন: বিদেশে চাকরির জন্য যারা প্রথমবার যাচ্ছেন, তারা এই লোন পেতে পারেন।
দ্বিতীয় পর্যায়ে লোন: যারা ইতিমধ্যেই বিদেশে চাকরি করছেন, কিন্তু নতুন বা ভাল চাকরির সুযোগ পেতে চাচ্ছেন, তারা এই লোন পেতে পারেন। - প্রবাসী বিনিয়োগ লোন: প্রবাস থেকে ফিরে যারা নিজ দেশে ব্যবসা শুরু করতে চান, তারা এই লোন নিতে পারেন।
লোন পাওয়ার যোগ্যতা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে:
- বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- নির্ধারিত বিদেশি কর্মসংস্থান প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরির প্রস্তাব থাকতে হবে।
- লোন পরিশোধের জন্য উপযুক্ত জিম্মা বা গ্যারান্টি থাকতে হবে।
- প্রয়োজনীয় দলিলাদি?
- লোন আবেদন করতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দলিলাদির প্রয়োজন হবে:
- বৈধ পাসপোর্টের ফটোকপি।
- প্রয়োজনীয় ভিসা এবং কর্মসংস্থানের চুক্তিপত্র।
- জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
- ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণী।
- প্রয়োজনীয় জমি বা সম্পত্তির দলিল (যদি থাকে)।
- লোনের সুদের হার এবং পরিশোধের মেয়াদ
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সাধারণত বাজারমূল্যের চেয়ে কম সুদে লোন প্রদান করে। লোন পরিশোধের মেয়াদও যথেষ্ট দীর্ঘ, যাতে প্রবাসীরা সহজেই লোন পরিশোধ করতে পারেন।
- সুদ হার: লোনের ধরণ এবং পরিমাণের ওপর নির্ভর করে সুদের হার পরিবর্তিত হতে পারে।
- পরিশোধের মেয়াদ: সাধারণত ১ থেকে ৫ বছরের মধ্যে পরিশোধের মেয়াদ থাকে, তবে প্রয়োজন অনুসারে তা বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে।
আবেদন প্রক্রিয়া
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার আবেদন প্রক্রিয়া বেশ সহজ। নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:
- আবেদনপত্র সংগ্রহ: ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখা বা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
- আবেদনপত্র পূরণ: সঠিকভাবে আবেদনপত্র পূরণ করে প্রয়োজনীয় দলিলাদি সংযুক্ত করতে হবে।
- জিম্মা প্রদান: লোনের বিপরীতে জিম্মা বা গ্যারান্টি প্রদান করতে হবে।
- আবেদনপত্র জমা: আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করবে।
- লোন অনুমোদন: যাচাইয়ের পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ লোনের আবেদন অনুমোদন করলে লোনের অর্থ সরাসরি আবেদনকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
শেষকথা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সহজ ও সুবিধাজনক লোন সুবিধা প্রদান করে তারা প্রবাসীদের জীবনে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই যারা প্রবাসে চাকরি করতে চান বা দেশে ফিরে বিনিয়োগ করতে চান, তাদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের লোন একটি চমৎকার সুযোwগ।
প্রিয় পাঠক,ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
Disclaimer: We do not guarantee that the information of this page is 100% accurate and up to date.