শিশুকে নৈতিক শিক্ষা দিচ্ছেন তো ?
শিশুকে নৈতিক শিক্ষা দিচ্ছেন তো: আজকে আমরা বাচ্চাদের কিছু নৈতিক শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করবো।আপনার বাচ্চাকে সঠিক শিক্ষা দেবার উপযুক্ত সময় হচ্ছে শিশুকাল। এই বয়সে যে শিক্ষাটি আপনি তাকে দিবেন সেটা তাকে সারাজীবন সঠিক ভাবে পথ চলতে সাহায্য করবে ।আপনার বাচ্চার যখন পাচঁ বছর হবে তখন থেকে আপনার শিশুকে নৈতিক শিক্ষা দিবেন। আজকের পোষ্টে আমরা আপনার সোনামনির জন্য কিছু নৈতিক শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করবো। আশাকরি পুরো টা শেষ পযর্ন্ত পড়বেন। তাহলে আর দেরি না করে দেখে নেওয়া যাক আপনার বাচ্চার জন্য কিছু নৈতিক শিক্ষা ।
শিশুকে নৈতিক শিক্ষা দিচ্ছেন তো
এই সাতটি নৈতিক শিক্ষা দিন:
সততাঃ
সাধারনত এই বয়সটাই বাচ্চারা খুব তাড়াতাড়ি মিথ্যা কথা বলতে শিখে যায়। মার খাওয়ার ভয়ে তারা যে কোনো অপরাধ করলে ও সত্যি কথা টা বলে না । আর এক সময় এই মিথ্যা টা সত্যি সত্যি অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। তাই আপনার বাচ্চাকে সত্য বলতে শিখান। আর যদি আপনার বাচ্চা যদি কোনো অপরাধ করলে তাকে মারধর , বকা ঝকা না করে বুজিয়ে বলুন। বাচ্চাদের সামনে বড়রা কেউ মিথ্যা বলবেন না । শিশুকে নৈতিক শিক্ষা দিন।
ন্যায় বিচারঃ
আপনার সন্তানকে কোনটা ন্যায় আর কোনটা অন্যায় সেটা খুব ভালো করে বুজিয়ে দিতে হবে। কেননা এখন তার শিখার বয়স। এই বয়সে তার চোখে আঙ্গুল দিয়ে শিখিয়ে দিতে হবে কোনটা খারাপ আর কোনটা ভালো।
সম্মানঃ
ছোট বড় সবাই কে সম্মান করার শিক্ষা দিন আপনার শিশুকে। যাতে সে বড় হলে কোনো মানুষকে হেয় চোখে না দেখে। সেই জন্যই দায়িত্বটা আপনাকে এখন থেকে নিতে হবে। আপনার বাচ্চার চোখের সামনে আপনার বাসার কাজের লোকদের কটু কথা বলবেন না । কারন সে আপনার থেকে সব শিখবে।
নম্রতাঃ
জীবনে চলার পথে নম্রতা ভদ্রতা হলো একটি অংশ। খেয়াল রাখতে হবে আপনার বাচ্চা যাতে ছোট খাটো বিষয় নিয়ে রেগে না যায়। আপনার বাচ্চাকে র্ধৈয রাখার শিক্ষা দিন। তার সাথে বড় কিছু অর্জন করলে যাতে অহংকার না করে সে বিষয়ে শিক্ষা দিন। অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর শিক্ষা দিন। দুঃখী মানুষের দুঃখ দেখে যাতে খুশি না হয় সে বিষয়ে শিক্ষা দিন।
দায়িত্ববোধঃ
আপনার বাচ্চাকে দায়িত্ববোধ শেখান। নিজের দৈনন্দিন কাজ গুলো নিজেকে করতে শেখান। যেমনঃনিজের দাতঁ নিজে নিজে ব্রাশ করা ,নিজের খেলনা গুলো খেলাধুলা পড়ে গুছিয়ে রাখা ইত্যাদি ছোট খাটো বিষয়ে আপনার বাচ্চার মধ্যে দায়িত্ব বোধ জাগ্রত করতে হবে।
ধৈর্যঃ
আপনার বাচ্চাটিকে র্ধেয রাখতে শেখান। কারন জীবনে বড় হতে হলে অনেক ধৈর্য থাকতে হবে। ধৈর্য জীবনে মহৎ কোনো কিছুই অর্জন করা যায় না। আপনার বাচ্চা যদি কোনো কাজে যদি সফল না হয় তা কে মারধর না করে । ধৈর্য ধারন করতে শেখান।
ভালোবাসাঃ
আপনার বাচ্চাকে ভালোবাসতে শেখান।শুধু মাত্র পরিবারের সদস্য ভালো না বেসে বড়,ছোট,ধনী ,গরীব কোনো ভেদাভেদ না করে সবাইকে ভালবাসতে শেখান। পথশিশুকে ভালো বাসতে শেখান। আপনার বাচ্চারখেয়াল রাখুন আপনার সন্তানের প্রতি শিশুর প্রতি। তার জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ যেন সু শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠে। এতে করে দেখবেন বড় হয়ে আপনার সন্তান মানুষের মতো মানুষ এ পরিণত হয়েছে।
শেষকথা
আজকের পোষ্টটি যদি ভালো লেগে থাকে আমাদের কমেন্ট করে জানান। আর আপনার বন্ধুদের শেয়ার দিন। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। সবাই সুন্দর থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
Disclaimer: We do not guarantee that the information of this page is 100% accurate and up to date.